সন্দ্বীপ মূল ভূ-খন্ড হতে বিচ্ছিন্ন দুস্তর পারাবারের একটি দ্বীপ। বিচ্ছিন্ন হলেও দ্বীপটির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। কবি আব্দুল হাকিম, কমরেড মোজাফফর, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রধান উদ্যোক্তা বেলাল মোহাম্মদসহ অনেক কবি, সাহিত্যিক, সমাজকমী, রাজনীতিবিদ এদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছেন। দ্বীপটি মুক্তিযোদ্ধার দ্বীপ। এই দ্বীপে প্রায় ১১শত অকুতভয় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা আছে। প্রতি-নিয়ত জীবন ধারণের তাগিদে ঝঞ্চাবিক্ষুদ্ধ সমুদ্র পাড়ি দিতে হয় বলে সন্দ্বীপবাসী সংগ্রামী, সাহসী ও পরিশ্রমী। জনপদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানের ফলে অথনৈতিকভাবে দ্বীপটি সমৃদ্ধশালী হলেও অধিকাংশ মানুষ এখনও স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্যানিটেশন সুবিধা হতে বঞ্চিত। প্রশাসনিকভাবে দ্বীপটি ১৯৫৪ সালে নোয়াখালী জেলা থেকে আলাদা হয়ে চট্টগ্রাম জেলার অন্তভূক্ত হয়। বতমানে এটি একটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন।
অবিরত নদী ভাঙ্গনের ফলে দ্বীপটি ক্রমশ ছোট হযে আসছে। বাস্তুহারা নদীভাঙ্গা অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষের আশ্রয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে চলছে। তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে দ্বীপটির প্রতি ঘরে ঘরে সেবা পৌছে দেয়া উপজেলা প্রশাসনের লক্ষ্য ।
বিদর্শী সম্বৌধি চাকমা
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS